ঢাকা , বুধবার, ০২ জুলাই ২০২৫ , ১৭ আষাঢ় ১৪৩২ বঙ্গাব্দ

​ভারতের মণিপুরে গুলিতে কুকি জনগোষ্ঠীর চারজন নিহত

ডেস্ক রিপোর্ট
আপলোড সময় : ০১-০৭-২০২৫ ০৮:৪৩:৪৬ অপরাহ্ন
আপডেট সময় : ০১-০৭-২০২৫ ০৮:৪৩:৪৬ অপরাহ্ন
​ভারতের মণিপুরে গুলিতে কুকি জনগোষ্ঠীর চারজন নিহত ​ছবি: সংগৃহীত
ভারতের উত্তর-পূর্বাঞ্চলীয় মণিপুর রাজ্যের কুকি অধ্যুষিত চূড়াচাঁদপুর জেলায় চারজন নিহত হওয়ার খবর পাওয়া গেছে। নিহতদের মধ্যে তিনজনের মৃতদেহ একটি গাড়িতে পাওয়া গেছে। আর এক নারীর দেহ পাওয়া যায় গাড়ি থেকে কিছুটা দূরে। পুলিশের ধারণা, কুকি বিদ্রোহী গোষ্ঠীগুলোর অভ্যন্তরীণ সংঘর্ষে এই খুনোখুনির ঘটনা ঘটেছে।

মণিপুর পুলিশ জানিয়েছে, তিনটি মৃতদেহে গুলির চিহ্ন রয়েছে। এ ছাড়া একজন নারীর মৃতদেহ পাওয়া গেছে। পুরো ঘটনার তদন্ত শুরুর পাশাপাশি আততায়ীদের খুঁজে বের করতে দক্ষিণ মণিপুরের ওই এলাকায় তল্লাশি অভিযান শুরু হয়েছে।

মণিপুরে প্রায় দুই বছর ধরে সংখ্যাগরিষ্ঠ মেইতেই সম্প্রদায় এবং কুকি-জো আদিবাসীদের মধ্যে সংঘাত চলছে। পুলিশের ভাষ্য অনুযায়ী, এবারের ঘটনা তার ব্যতিক্রম।

সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে এক বিবৃতিতে মণিপুর পুলিশ জানিয়েছে, চূড়াচাঁদপুর হাসপাতালে এখন পর্যন্ত যাদের মৃতদেহ আনা হয়েছে তারা হলেন জেলার মাতেজাং অঞ্চলের থেনখোথাং হাওকিপ ওরফে থাহপি (৪৮), তেসেং গ্রামের সেইখোগিন (৩৫) এবং চেংকোন অঞ্চলের লেঙ্গোহাও (৩৫)। এ ছাড়া কোয়েট গ্রামের ফলহিং নামে ৭২ বছরের এক নারীর দেহ হাসপাতালের মর্গে রয়েছে।

কুকি ন্যাশনাল আর্মি (কেএনএ) নামে একটি বিদ্রোহী ও সশস্ত্র গোষ্ঠীর উপপ্রধান ছিলেন থেনখোথাং হাওকিপ। বাকি দুজন সেইখোগিন ও লেঙ্গোহাও কেএনএর সাধারণ সদস্য ছিলেন। মণিপুরের ১৭টি উপজাতীয় বিদ্রোহী গোষ্ঠী নিয়ে গঠিত বিদ্রোহী কুকি ন্যাশনাল অর্গানাইজেশনের অন্যতম সদস্য কেএনএ। ২০০৭-০৮ সালে কুকি ন্যাশনাল অর্গানাইজেশন কেন্দ্র ও রাজ্য সরকারের সঙ্গে একটি চুক্তি করে সংঘর্ষে বিরতি ঘোষণা করে।

কুকি ন্যাশনাল অর্গানাইজেশনের বিরোধী হচ্ছে ইউনাইটেড কুকি ন্যাশনাল আর্মি (ইউ-কেএনএ)। ইউ-কেএনএ সরকারের সঙ্গে সংঘর্ষ বিরতিতে যায়নি। তাদের বক্তব্য, কুকি ন্যাশনাল অর্গানাইজেশনের বিভিন্ন সংগঠন (যেমন কেএনএ) সরকারের সঙ্গে হাত মিলিয়ে তাদের নানাভাবে হেনস্তা করছে, অনেক সময় তাদের সদস্যদের হত্যাও করছে। যারা তাদের হেনস্তা এবং হত্যা করতেন, তাদের অন্যতম ছিলেন থেনখোথাং হাওকিপ। তিনি ও তার দলের লোকজন ইউ-কেএনএর ৩০ জনের বেশি সদস্যকে গত কয়েক বছরে হত্যা করেছেন। এদের মধ্যে ইউ-কেএনএর শীর্ষ নেতারাও রয়েছেন।

ইউ-কেএনএ এক বিবৃতিতে জানিয়েছে, এ কারণে হাওকিপসহ কেএনএর তিন সদস্যকে সোমবার (৩০ জুন) হত্যা করা হয়েছে।

বাংলাস্কুপ/ডেস্ক/এসকে


প্রিন্ট করুন
কমেন্ট বক্স


এ জাতীয় আরো খবর

সর্বশেষ সংবাদ